'রাজনীতিতে প্রখ্যাত ব্যক্তিত্ব'- নিয়ে সংবাদপত্রে প্রকাশ উপযোগী একটি প্রতিবেদন লিখুন । Marks : 15
রাজনীতির ময়দানে সেলিব্রিটি
■ বিশেষ সংবাদদাতা, কলকাতা, 4 ডিসেম্বর : রাজনীতি কি ছেলের হাতের মোয়া? তাহলে ইচ্ছে করলেই সারাজীবন রাজনীতির ছায়া না মাড়িয়েও নির্বাচনে লড়া যায় কি করে? উত্তরটা খুবই সহজ-'গ্ল্যামার' জগতের যে কেউ চাইলে অভিজ্ঞতা ছাড়াই, শুধু জনপ্রিয়তা মূলধন করে নামতে পারেন ভোটের ময়দানে। দুহাত বাড়িয়ে অভ্যর্থনা করার দলের অভাব হবে না। তাই নায়ক গায়ক চিত্রতারকাদের ভোটে দাঁড়ানোর ঘটনা ঘটছে আকছার। আগে পরের কথা মাথায় নেই কারুর। এতদিন কি করতেন, নির্বাচিত হয়ে কি কি করতে পারেন বা আদৌ করবেন কি না এসব প্রশ্নকে বিন্দুমাত্র আমল দিতে নারাজ আম মতদাতা। প্রিয় গায়ক, রূপোলি পর্দার রাজকুমার, রাজকুমারী স্বপ্নের জগৎ থেকে উপস্থিত চোখের সামনে। সেখানে বাস্তব দাবি, পানীয় জলের দীর্ঘদিনের চাহিদা মিটল কিনা এসব প্রশ্ন হয়ে যায় তুচ্ছ। বৃহত্তর গণতান্ত্রিক দেশের এমন অপরিণত মতদাতা আশা করা যায় কি? ভোটদাতার এই অজ্ঞতাকে মূলধন করতে রাজনৈতিক দলগুলি তৎপর। গণসচেতনতার অভাবে লাঞ্ছিত হয় গণতন্ত্র। অন্য পেশার প্রখ্যাত ব্যক্তিত্ব রাজনীতিকে দেশসেবার অঙ্গ হিসেবে গ্রহণ করে দক্ষ প্রশাসক রূপে নিজেকে প্রমাণ করেছেন এমন দৃষ্টান্ত স্বাধীনোত্তর কালে দেশের রূপকারদের মধ্যে অনেক আছেন। আজকেও হয়তো এই ব্যতিক্রমী ঘটনা ঘটে। তবে অধিকাংশের কপালে ভাঁজ ফেলে দেয়। প্রশ্ন জাগে ভোট মিটে গেলে দেখা পাওয়া যাবে তো এঁদের। সত্যিই এঁরা কি সাধারণ মানুষের অভাব অভিযোগের বাস্তব ভিত্তিটা বোঝেন! এঁরা কি আদৌ আদায় করে আনতে পারবেন নিজের অঞ্চলের ভোটদাতাদের ন্যায্য প্রাপ্তি! নাকি ভোট মিটে গেলে বিয়ে ফুরনোর পর পরিত্যক্ত 'ছাদনাতলার' অবস্থা হবে ভোটারদের। শীতান্তের মরশুমি ফুলের মতো এঁরা পাততাড়ি গুটিয়ে ভোটের ময়দান থেকে পালাবেন 'টলিউড বলিউডের' নক্ষত্র পরিধিতে।